বন্যা ও খাদ্য সঙ্কট বিষয়ে দরকার আগাম প্রস্তুতি

 প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন   |   সম্পাদকের কথা



কিছুদিন আগেই হাওরে আকস্মিক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার বৃষ্টির কারণে দেশের সব নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোতে দ্রুত পানি বাড়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আগামী ১০ দিনের নদীর পানি বৃদ্ধি বিষয়ক প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন নদীর পানি বিষয়ে খুব একটা নেতিবাচক পূর্বাভাস না থাকলেও মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টিপাতে হঠাৎ বন্যার শঙ্কা রয়েই গেছে। সাম্প্রতিক হাওরের আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি এটির বড় উদাহরণ।

নদী দখল, নদীর প্রবহমান পথে অবৈধ অবকাঠামো এবং দুর্নীতির কারণে নিম্নমানের বাঁধে ভাঙ্গনসহ নানা কারণে দেশের বন্য পরিস্থিতি মাঝে মাঝে বেশ খারাপ হয়ে উঠছে। এসব দিকে জরুরি নজর দেয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।

Bkash May Banner
সারাবিশ্ব জুড়ে করোনা মহামারীর কারণে খাদ্যসহ অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রকট দেশে দেশে, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খাদ্য আমদানি-রপ্তানি নির্ভর দেশগুলো স্ব স্ব প্রেক্ষাপটে সমস্যায় পড়েছে। নিজস্ব খাদ্য চাহিদা মেটাতে অনেক দেশই তেল, গম, চালসহ তাদের নিত্য খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে রক্ষণশীল আচরণ শুরু করেছে। আবার রপ্তানি সীমিত করায় তাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে এবং তারা যেসব পণ্য আমদানি করত সেখানেও তারা সমস্যায় পড়ছে। বাংলাদেশেও হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ মোটামুটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপরেও বহু জিনিস আমদানি করতে হয় প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ধান, গম, তেলবীজের নিজস্ব উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হিসেব করে চাহিদা অনুযায়ী আমদানি পরিকল্পনা করা হয়ে থাকে। আকস্মিক বন্যায় নানা ফসলের ক্ষতি হলে অনেকসময় হিসেবে এলোমেলো হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বন্যা বিষয়ে আগে থেকেই সাবধান হওয়া দরকার।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কোন হাত নেই। তারপরেও ভাঙ্গনপ্রবণ নদী অববাহিকায় বাঁধের অবস্থা দেখা ও আগে থেকে সংস্কার এবং আগাম পূর্বাভাস বুঝে খাদ্য আমদানি ও সংরক্ষণের টেকসই পরিকল্পনা করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।