একমাত্র মানুষই চিন্তা করতে পারে এবং ভাবতে পারে ; এখানেই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব

 প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন   |   সম্পাদকের কথা


মুঃ আবদুল হাকিম : 


চিন্তা এমন একটি মানব সম্পদ যার মূল্য অর্থসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ অথবা খনিজ সম্পদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এ সম্পদ না থাকলে অন্যান্য সম্পদগুলো কোনো কাজে আসে না। এটি একটি ঘৃণা নাশক এবং অসাম্প্রদায়িক মানবিক গুণ যা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে।একমাত্র মানুষই চিন্তা করতে পারে এবং ভাবতে পারে।আর কোনো প্রাণী পারে না। এখানেই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব।চিন্তা থেকে মানুষের মনুষ্যত্বের এবং মানবিকতার ভিত্তিভূমি তৈরী হয়। চিন্তা মানুষের জীবনে মূল্য সংযোজন করে। জীবনকে অনন্যতা দান করে।এজন্য চিন্তা উন্নয়ন প্রকল্প মানে মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প।কিন্তু  চিন্তার কেনাবেচার বিষয়টা আমরা যেন ভাবতেই পারি না।চিন্তা আবার কে কিনবে ? আবার এটা বিক্রি করবেই বা কে ? সবাই তো কিনবে না । যারা কেনার তারা ঠিকই কিনবে। চিন্তার আবার  কিসের বাজার? এটা কেন দরকার ? এ যুগে মানুষ টাকার পিছনে ছুটতে চায়। যে দিকে টাকা নেই সেদিকে মানুষ নেই। এটা বাস্তবতা। বাজারে পেশাদার চিন্তাবিদ পাওয়া যাবে।সরকারের প্রত্যেকটা পলিসি একেক টি চিন্তার প্যাকেজ।এগুলোর মধ্যে মানুষের ধনী গরীব হওয়ার মূলমন্ত্র থাকে।দেশের শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের যাদু আছে ধনীদের হাতে।প্রয়োজন শুধু যথাযথ নীতি সহায়তা।চিন্তার মধ্যে লুকিয়ে আছে সকল সমস্যার ঠিক ঠিক সমাধান।বসুন্ধরা শপিং মল এবং যমুনা ফিউচার পার্কের মত চমৎকার লোকেশনে স্বল্প পরিসরে এ বাজারটি পাইলটিং করা যেতে পারে।   

চিন্তা বা জ্ঞান মার্গ প্রায় সমার্থক। শিক্ষা থেকে জ্ঞান এবং জ্ঞান থেকে চিন্তা। মানুষ মরে যায় বা হারিয়ে যায়।কিন্ত তার চিন্তা ও কর্ম থেকে যায়।চিন্তার বাজার বা মেলার মাধ্যমে শিক্ষক, ছাত্র এবং আমজনতার কাছে চিন্তাবিদ এবং দার্শনিকদের চিন্তাভাবনাগুলো তুলে ধরা যায়। বিশ্বমানবের  চিন্তার মানচিত্র এবং গতিপথটা দেখা যায়। নতুন নতুন চিন্তা না এলে জীবন ও সমাজ বদলায় না। বাজার নতুন নতুন চিন্তার আমদানিকে উৎসাহিত করবে।চিন্তার বাজার চিন্তার নতুন নতুন অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক ডাইমেনশন সৃষ্টি করবে।বাজার মানে অর্থনীতি ,ব্যবসা বাণিজ্য, প্রবৃদ্ধি,  কর্মসংস্থান,  মাথাপিছু আয়, কেনাকাটা, আমদানি, রফতানি , ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া এবং ব্যাংক থেকে টাকা তোলা ইত্যাদি।  ।   
   
মানুষের চিন্তার প্রকৃতি দেখে বোঝা যায় তার শিক্ষার মান কেমন। যে যত উন্নত চিন্তা করতে পারে সে তত সুশিক্ষিত এবং সুনাগরিক।মানুষের শিক্ষার গুণগত মান নির্ণয় করা যায় তার চিন্তাধারা থেকে। আমি-কে চেনা যায় বা জানা যায় তার  চিন্তা থেকে।এই চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষের মৌলিক ক্ষমতা।এটা মানুষের নিজস্ব ক্ষমতা। চিন্তা থেকে মানুষের মুক্তি ও মোক্ষ লাভ হয়।  চিন্তা যদি দুশ্চিন্তা না হয় তাহলে প্রশান্তি এবং সুখানুভূতির উৎস। শান্তি এবং সম্প্রীতির উৎস।ভাল চিন্তা থেকে ভালবাসা,মায়া, মমতা এবং সমঝোতা সৃষ্টি হয়।ইতিবাচক চিন্তার শক্তি নেতিবাচক চিন্তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। ভাল চিন্তা থেকে ভাল সিদ্ধান্ত, ভাল পরিকল্পনা এবং ভাল নীতি গৃহীত হয়।দেশে শিক্ষিত বেকার কোটি কোটি। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে গোটা  দেশ ভরে গেছে।এসব প্রতিষ্ঠানে এখন নিয়োগ বাণিজ্যের কাঁচামাল উৎপাদন হচ্ছে। এদের অবদান শুধুমাত্র ডিগ্রী প্রদান।এদের কর্মসংস্থানের দায়দায়িত্ব কেঊ নিতে চাচ্ছে না।কোনো জব ফেয়ার বা জব মার্কেট নেই।এতে শুধু অভিভাবকদের টাকা নষ্ট হচ্ছে এবং সন্তানের কষ্ট হচ্ছে।আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা বানানোর শিক্ষা আছে-  সমাধানের শিক্ষা নেই।তাই দেশে সমাধান মুখী চিন্তার সংকট বিরাজ করছে। এটা মানুষ টাকা দিয়েও কিনতে রাজী। ভাল নীতি প্রণয়নের জন্য থিংক ট্যাংক  না থাকলে যথার্থ নীতি প্রণয়ন করা যায় না। ভাল থিংক ট্যাংকের বাজার সব দেশেই ভাল। 
 
চিন্তাহীন জাতির চেয়ে চিন্তাশীল জাতি শ্রেয়।চিন্তাহীন মানুষের চেয়ে  চিন্তাশীল মানুষ উৎকৃষ্ট।  চিন্তাশীল জাতি চিন্তাহীন জাতিকে শাসন এবং শোষণ করে। চিন্তাশীল জাতি ধনী হয়। চিন্তাহীন জাতি গরীব হয়।চিন্তাহীন জাতি সব  সময় মারামারি,গুঁতোগুঁতি, কাটাকাটি, হানাহানি, রক্তপাত , সন্ত্রাস এবং সংঘাতের মধ্যে থাকতে চায়। উন্মত্ততা, উন্মাদনা এবং লড়াই লড়াই ভাব ছাড়া তারা বাঁচতে পারে  না।এজন্য তারা বিশ্বমানের শিক্ষা চায় না।
সব সময় অগ্রাধিকার নির্ণয় খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সদা প্রস্তুত কিন্তু চিন্তা করতে নারাজ।ডিম আগে না মুরগি আগে এসব ভাবার তাদের সময় নেই । আসলে কোনটা আগে ? চিন্তা না কাজ ? চিন্তা আগে। কেননা   চিন্তা ঠিক হলে কর্মও ঠিক হবে। চিন্তা ভুল হলে কর্মও ভুল হবে। মানুষের মান সম্মান এবং দাম নির্ণয় করা হয় মানুষের চিন্তা থেকে। চিন্তার দাম  বাড়লে  মানুষের দামও বাড়ে। চিন্তা থেকেই কর্মের সূচনা। মানুষের অস্তিত্ব চিন্তা এবং কর্মের সাথে সম্পৃক্ত। চিন্তা স্বতঃস্ফূর্ত। চিন্তা নেই মানে অস্তিত্ব নেই।মনের চিন্তা থেকেই কর্ম। কর্ম থেকেই উন্নয়ন। সবচেয়ে বড় উন্নয়ন হল মানব সম্পদ উন্নয়ন।চিন্তার বাজার মানব সম্পদ মেলায় পরিগণিত হবে। 

পৃথিবীতে সকল পণ্যের বাজার আছে। এমনকি মাছেরও বাজার আছে।  কিন্তু পৃথিবীতে চিন্তার কোন বাজার তৈরি  হয়নি। বাজার তৈরী করতে পারলে মানব সম্পদ কি তা উপলব্ধি করা যায়। মানবকে সম্পদ রূপে তৈরি করতে হলে চিন্তার বাজার তৈরি করতে হবে।চিন্তার বাজার তৈরি না হলে মানুষ চিন্তার আগ্রহ ক্রমশঃ হারিয়ে ফেলবে। আমাদের দেশে ভাল পাঠকের তীব্র অভাব। এ জন্য বই এর বাজার হারানোর পথে।বই এর বাজার হারিয়ে গেলে প্রকাশনা শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।আমাদের চিন্তা সাহিত্যকে সযত্নে লালন পালন করতে হবে। কেননা এর ওপর প্রকাশনা  শিল্পের উন্নয়ন নির্ভর করছে। চিন্তা শিল্পের উন্নয়ন না হলে প্রকাশনা শিল্পের কোন উন্নয়ন  হবে না।এইজন্য চিন্তার বাজার আগে না হলেও এখন অপরিহার্য ।চিন্তার বাজার তৈরী না হলে শিক্ষা ও জ্ঞানের বাজার তৈরি হবে না । গুণগত মানের চিন্তা থেকে ভাল গীতি, কথা,  গান ,শিল্প,সাহিত্য,সংস্কৃতি ,সংলাপ, আলোচনা, বক্তব্য, বক্তৃতা, সভা,সেমিনার,সম্মেলন,  সিম্পোজিয়াম , কর্মশালা ইত্যাদি প্রস্তুত করা যায়।
চিন্তাধারা থেকে চরমপন্থী,নরমপন্থী এবং মধ্যপন্থী নির্ণয় করা যায়। চিন্তা ভাল উজ্জীবকও বটে। একজনের চিন্তাধারা থেকে আরেকজন মানুষ উজ্জীবিত হতে পারে। চিন্তা হরেক রকম । সুস্থ চিন্তা, অসুস্থ চিন্তা , উগ্র চিন্তা ইত্যাদি। বাজারে মানুষ ভাল চিন্তা কিনবে । ফালতু চিন্তা কিনবে না।একজনের ভুল চিন্তা আরেকজনের চিন্তা দ্বারা সংশোধন হয়।চিন্তার বাজার থেকে মানুষ বিনোদনের মাধ্যমে ভিন্নমত এবং ভিন্নধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে পরমতসহিষ্ণু হতে পারে। চিন্তার স্বাধীনতা না থাকলে চিন্তার বাজার সৃষ্টি করা যাবে না। উচ্চ শিক্ষা না হলে মানুষের চিন্তা সক্ষমতা বাড়ে না। চিন্তাপ্রবাহ থেকে চিন্তাশীলতা বিকশিত হয়।সৎ কর্মের  জন্য সৎচিন্তা অপরিহার্য। মহামানবদের জীবন এবং কর্ম সৎ চিন্তার ফসল। চিন্তার চাষাবাদ  না হলে উন্নত জাতি তৈরী হয় না। নাগরিকের চিন্তার মান উন্নত করে একটা চমৎকার চিন্তার বাজার তৈরি করা যায়। চিন্তার স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এবং বিবেকের স্বাধীনতা না থাকলে  চিন্তার বাজার চালু করা যাবে না।
ভালো সিদ্ধান্তের জন্য, ভালো পরিকল্পনার জন্য ভালো চিন্তা জরুরি। ভালো কাজ আসে ভালো চিন্তা থেকে। ভালো চিন্তা না থাকলে ভালো কাজ আসতে পারে না। ভালো কাজের জন্য আগে ভালো চিন্তা দরকার। ভালো চিন্তা আগে না আসলে ভালো কাজ করার অভিপ্রায় সৃষ্টি হয় না।ভাল চিন্তা  এমনি এমনি আসে না। ভালো চিন্তার জন্য  ভালো পরিবেশ প্রয়োজন। ভালো চিন্তার পরিবেশের জন্য চিন্তার স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এবং বিবেকের স্বাধীনতা দরকার। এগুলো খুবই জরুরি। এগুলো না থাকলে চিন্তা শিল্পে মানুষ বিনিয়োগ করবে না। ফলে চিন্তা শিল্প বিকশিত করা সম্ভব হবে না ।

চিন্তার মূল্য না থাকলে চিন্তার বাজার তৈরি করা সম্ভব না ।উদ্যোক্তা, অর্থনীতি এবং ব্যবসাবাণিজ্যের সাথে যুক্ত না হলে বাজারে চিন্তার কোনো মূল্য সৃষ্টি হবে না। মূল্যহীন বা ফালতু চিন্তার কোন বাজার  হয় না ।মূল্যবান চিন্তাধারা থেকে সমাজ, জাতি, নাগরিক এবং দেশের জন্য ভাল পলিসি তৈরী হবে। ভালো চিন্তা ছাড়া কোনো ভালো নাগরিক তৈরি হয় না ।আবার ভালো নাগরিক ছাড়া কোনো ভালো রাষ্ট্র তৈরি হয় না। ভাল নাগরিক তৈরীর পূর্বশর্ত হলো ভালো চিন্তার বাজার তৈরি করা। 

বাজার সৃষ্টি হলে কথাসাহিত্য এবং চিন্তা সাহিত্য নতুন মাত্রা পাবে। বাজার হলে চিন্তাশীল এবং মননশীল মানুষ তৈরি হয়।চিন্তার গুণগত মানোন্নয়নে নাগরিক যত্নবান না থাকলে জন্ম হয় না কোনো নাগরিক অধিকার। মানুষ এখন চিন্তা করতে অনীহা প্রকাশ করছে। চিন্তার মূল্য তৈরি হলে মানুষ চিন্তা করতে আগ্রহী হবে। চিন্তার বাজার হলে চিন্তাশীল মানুষ তৈরি হবে। মননশীল মানুষ, শিল্পী এবং সাহিত্যিক তৈরী হবে। চিন্তাবিদের সংকট তৈরী হবে না। প্রকাশনা শিল্প বিকশিত হবে। সংগীতশিল্পী বিকশিত হবে। চিন্তার বাজারে কারা থাকবে? গণমাধ্যম থাকবে, সংগীতশিল্পী থাকবে,  বুদ্ধিজীবী থাকবে, জ্ঞানীগুণী থাকবে, বক্তা থাকবে, রাজনীতিক থাকবে এবং ব্যবসায়ী থাকবে।চিন্তার বাজারে গান-বাজনা যেমন থাকবে তেমনি চিন্তাবিদ থাকবে। চিন্তা করার জন্য চিন্তার বাজার এখন জরুরি। মানুষের চিন্তার বিষয় বেড়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিন্তার প্রাথমিক বাজার হিসেবে তৈরি করা যায়। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে চিন্তাশিল্পের উন্নয়ন ঘটে। জ্ঞানচর্চার সাথে চিন্তাচর্চার একটা সম্পর্ক আছে।একটা ছাড়া আরেকটা চলতে পারে না।মানুষ জন্মের সাথে সাথেই চিন্তা করতে শিখে। কথা বলতে শিখে।মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ চিন্তা এবং কথা চালিয়ে যায়। 

একুশে বইমেলাকে চিন্তার বাজার বা মেলা বলা যায় না। কেননা এখানে কবিদের ভিড়ে চিন্তা বিদদের খুঁজে পাওয়া যায় না।এখানে আবেগ বেশি চিন্তা কম।এখানে চিন্তাকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শোকেসিং করা হয় না।এখানে চিন্তার মার্কেটিং হয় না। চিন্তার মার্কেটিং না হলে মানুষ চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ হবে না । আর চিন্তার নগদ বাজার মূল্য থাকতে হবে।মানুষের ভ্যালু সৃষ্টি করতে হলে চিন্তারও একটা ভ্যালু সৃষ্টি করতে হবে। চিন্তার ভ্যালু তৈরি হলে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন ও আবিস্কার বেড়ে যাবে।চিন্তার বাজার তৈরি হলে গুণগতমানের শিক্ষার প্রসার ঘটবে।কেননা উন্নতমানের উচ্চশিক্ষা ছাড়া ভালো চিন্তা তৈরি করা যাবে না। চিন্তার মূল্যমান জ্ঞানী-গুণীদের মূল্যমান বাড়াবে।চিন্তার কনজ্যুমার এবং কাস্টমার থাকলে চিন্তার উৎপাদন নিঃসন্দেহে বেড়ে যাবে।এটি শিল্প হিসেবে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার হকদার। চিন্তা হলো ভালো সিদ্ধান্ত এবং ভালো পরিকল্পনার কাঁচামাল। ভালো চিন্তা থেকে ভালো সিদ্ধান্ত এবং ভাল পরিকল্পনা আসে। যারা শ্রোতা এবং পাঠক তারাই চিন্তার কনজ্যুমার বা কাস্টমার। চিন্তার বাজার সৃষ্টি হলে মানুষের দাম বাড়বে কেননা মানষই কেবল চিন্তা করতে পারে এবং  কথা বলতে পারে।বাজারে চিন্তার একটা  মূল্য থাকবে।বাজারে বিক্রির জন্য ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য  থাকতে হবে। বাজার মানে হচ্ছে ক্রেতা এবং বিক্রেতা। ক্রেতা না থাকলে বিক্রেতাও থাকে না। 
বাজার অর্থনীতিতে চিন্তার একটা মূল্য থাকতে হবে। মূল্য না থাকলে মানুষ খামোখা চিন্তা করবে কেন যদি চিন্তা করে কোন লাভ না থাকে।চিন্তার বাজার তৈরি হলে কথা এবং লেখার বাজার তৈরি হবে। কেননা চিন্তার প্রকাশ কথা এবং লেখার মাধ্যমেই হয়। মানুষ চিন্তা প্রকাশ করে কথা এবং লেখার মাধ্যমে। কথা এবং লেখা থেকে চিন্তা জানা যায়। চিন্তার বাজার তৈরি হলে বিরুক্তিকর টকশোগুলোর মধ্যে নতুনত্ব  আসতে পারে। টেলিভিশন এবং দৈনিক পত্রিকাগুলোর  গতানুগতিক সংবাদ শিরোনামগুলো বদলে যেতে পারে।

(মুঃ আবদুল হাকিম, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব)