২ মাস পর শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচল শুরু

 প্রকাশ: ২৫ অগাস্ট ২০২২, ০৮:০৯ অপরাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ


প্রায় দুই মাসের অচলাবস্থার পর শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টায় মাঝিরঘাট থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।



মাঝিরকান্দি ঘাটের (লঞ্চ) ইজারাদার মোকলেছ মাদবর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান,  বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টায় সেতু নেভিগেশন কোং এম.এল নামের লঞ্চটি ১০ জন যাত্রী নিয়ে মাঝিরকান্দি ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ২০টি লঞ্চ ও ২৪টি স্পিডবোট প্রতিদিন চলবে এই ঘাট দিয়ে।


মোকলেছ মাদবর বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে লঞ্চে হাজারো মানুষ পার হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর ঘাটে লঞ্চ চলাচল দুই মাস বন্ধ ছিল। তাই ঘাটের লঞ্চ, স্পিডবোটসহ অন্যান্য চালক ও কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়ে। পাশাপাশি আমাদের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, তাও বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের ইনকামও বন্ধ হয়ে পড়ে।  


এ ব্যাপারে মাঝিরকান্দি ঘাটের আরেক ইজারাদার নেছার উদ্দিন মাদবর বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী না থাকায় এই ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘাটের ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারের চালক ও কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়ে। এছাড়া হকার ও দোকানদারদের বেচাবিক্রি বন্ধ হয়ে পড়ে। হোটেল-রেস্তোরাঁও বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার ঘাটটি চালু হওয়ায় মানুষের কর্মসংস্থান হলো।


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ( বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী সংকটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা। এছাড়া ঘাটকেন্দ্রিক রাজস্ব আদায়ও বিঘ্নিত হচ্ছিল। আর এ জন্য যাত্রী ভোগান্তি নিরসন, নৌযানগুলো পুনরায় চলাচল এবং ঘাটমুখী বিভিন্ন পেশার জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে ঘাট ব্যবস্থাপনায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে বিআইডব্লিউটিএ থেকে নৌযান চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।