ছাত্র আন্দোলনের নামে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: র্যাব ডিজি
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এরমধ্যে নাশকতায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিগগিরই বাকীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্থ র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজি এসব কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশদ্রোহী, বিভিন্ন স্বার্থান্বেসী মহল এসব নাশকতা চালিয়েছে। তারা প্রকৃত অর্থে ছাত্র নয়।
তিনি বলেন, নাশকতাকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাংচুর, ভবন ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, থানায় হামলা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় র্যাবের শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এসব হামলায় বেশকয়েকজন র্যাব সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে সমীর বড়–য়া নামে এক কনস্টেবলের অবস্থা আশংকাজনক।
র্যাব প্রধান বলেন, আন্দোলনকারীরা মানব ঢাল হিসেবে ৭ থেকে ১০ বছরের শিশুদের সামনে রেখে পিকেটিং করেছে, এজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যেতে পারিনি। পরবর্তীতে হেলিকপ্টারে করে আমরা তাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছি। নন লিথিয়াম উইপেন এবং টিয়ার সেল ব্যবহার করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুনীম ফেরদৌস বলেন, সোমবার রাতে রাজধানীর নদ্দা ও ভাটারা এলাকা থেকে র্যাব অভিযান চালিয়ে নাশকতায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হচ্ছে- সজল মিয়া, ফয়সাল আহমেদ রকি, আরিফুল ইসলাম ও তারেক হোসেন। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত তারেক সাধারণ ছাত্র গণঅধিকার পরিষদের ২০১৮ সালের কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব। সে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে এসব নাশকতামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করেছে। এসব টাকা দিয়ে তারেকের নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃতরা রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, মেট্রোরেল, কাজিপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন, রামপুরা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।