প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দেওয়া চন্দ্রশেখর কারাগারে
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া চন্দ্রশেখর মিস্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন মেট্রোপলিটন মামুনুর রশীদ রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সাদিকুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষে মনোয়ার হোসেন তাপস রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বুধবার তেজগাঁও থানার নাজনীনবাগ এলাকা থেকে চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চাকরিপ্রার্থীর সিভি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বদলির আবেদন, সরকারি স্কুল ও কলেজে ভর্তির আবেদনপত্র, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম, মোবাইল নম্বর, একাধিক সিল, ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি ডেবিড কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।
জানা যায়, চন্দ্রশেখর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আশ্বাস দিয়ে মানুষজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এছাড়া স্কুল-কলেজে ভর্তি ও বদলি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো, গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ পাস ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে শতাধিক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
সর্বশেষ গত ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিফ কম্পট্রোলার পরিচয়ে চন্দ্রশেখর মিস্ত্রী ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে নিজের ভাগ্নেকে ভর্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
এ ঘটনায় কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা আমীমুল ইহসান মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন।