গ্রামীণফোন এবং র্যাবের কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষর
উন্নত টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সুবিধার নিশ্চয়তা দানের মাধ্যমে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ফোর্সেস (র্যাব)-এর অংশীদারি সম্পর্ককে আরো জোরদার করে তোলা হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর, ২০২১ তারিখে র্যাবের সদর দফতরে গ্রামীণফোন ও র্যাবের মধ্যে একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়, যার আওতায় র্যাবের সমগ্র বাহিনীর মোবাইল নেটওয়ার্ককে একই প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনার সুবিধা দিতে যাচ্ছে গ্রামীণফোন।
এই চুক্তি অনুসারে, র্যাবকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাজারের সেরা রেটে আকর্ষণীয় ভয়েস, ডেটা এবং আইসিটি সুবিধা প্রদান করবে মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানটি, যার মাধ্যমে উভয় পক্ষই আরো উন্নত মাইলফলক অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা রাখছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার, পিএসসি, জি, ডিরেক্টর কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমআইএস, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ফোর্সেস এবং নুরুল ফেরদৌস মুসান্না, হেড অব গভর্নমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস, গ্রামীণফোন, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। উপস্থিত অন্যান্য সম্মানিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন – চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিজি; কর্নেল কে এম আজাদ, বিপিএম, পিএসসি, এডিজি অপারেশনস; ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম, এডিজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ফোর্সেস; ইয়াসির আজমান, সিইও, গ্রামীণফোন; কাজী মাহবুব হাসান, সিবিও, গ্রামীণফোন; এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সম্মানিত কর্মকর্তাবৃন্দ।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গ্রামীণফোনের অব্যাহত নির্ভরযোগ্যতার প্রশংসা প্রকাশ করে বলেন – “একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে গ্রামীণফোনের দেশব্যাপী কাভারেজ, উদ্ভাবনী সেবা এবং উৎকর্ষতার জন্য বহু বছর ধরে তাদের উপর নির্ভর করে আসছে র্যাব। এই অংশীদারিত্বকে নবায়ন করার মাধ্যমে, আমি আগামী দিনগুলিতে গ্রামীণফোন থেকে আরও উন্নত পরিষেবা লাভের প্রত্যাশা করছি”।
পারস্পরিক সম্পর্কের আত্মবিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় জানিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “দেশের প্রতিটি প্রান্তে যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকা বাহিনী র্যাব – যাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ – তাদেরকে টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সেবা প্রদান করতে পেরে আমরা বিনীত। তাদের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি রাখার একটি প্রমাণ এই চুক্তির নবায়ন, যা আমাদেরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী এবং নেটওয়ার্কের উন্নত সক্ষমতা তৈরিতে আরো অনুপ্রাণিত করে”।