মৌচাক ভাঙা শিকারি পাখি মধুবাজ

 প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১২:৩৪ অপরাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার



পাখিরা ফুলের মধু খায়, কিন্তু মৌমাছি ভরা মৌচাক ভেঙে মধু খান- এমনটি কিন্তু সচরাচর শোনা যায় না। ব্যতিক্রমী সেই পাখিটির নাম মধুবাজ।


মৌচাক ভেঙে মধু খেতে অসাধারণ দক্ষতার জন্য এদের নামই হয়ে গেছে মধুবাজ।

বাজ বা ঈগল জাতীয় পাখিরা আকারে বড় ও শিকারি হয়। মধুবাজের ইংরেজি নাম Oriental Honey-Buzzard।
বৈজ্ঞানিক নাম Pernis Ptilorhyncus। শরীরের মাপ ৬৫-৭২ সেন্টিমিটার। ওজন ১-১.৭৫ কেজি। বছরের বিশেষ বিশেষ ঋতুতে এদের রং বদলায়। আবার বাচ্চারা জন্মে সাদা রং নিয়ে। রং বদলের কারণে এদের শনাক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হয়।  
মধুবাজের বোজোনো ডানার আগা বা প্রান্ত কালো। পিঠ, ডানার উপরিভাগ ও লেজের উপরটা সাদাটে বাদামি। তার উপর কালচে রঙের টান জায়গায়। ঘাড়-মাথা সাদাটে। এদের মাথার পেছনে খোপা আছে। মেয়ে ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম।  

এরা বাসা বাঁধে মাঝারি বা উঁচু গাছে। কোনোরকম বিঘ্ন না ঘটলে একই বাসায় প্রতিবছর ফিরে আসে এবং ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ে ১ থেকে ৩টি। ডিমের রং খড়িমাটির মতো সাদা। তাতে বাদামি ও লালচে ছিটছোপ। ডিম ফোটে ২৫-৩০ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ৪০-৪৫ দিন পর।  
এরা মৌচাক ভাঙে খুব কৌশলে। একটি বড় চাকে বারবার হামলা চালায় নানাভাবে। চাকে হামলা চালানোর আগেই মৌমাছিরা টের পেয়ে আক্রমণ করে। কিন্তু মধুবাজ ডানার বাড়িতে তাদের কুপোকাত করে। কিন্তু এসময় যদি কোনো মানুষ বা পশু আশপাশে থাকে তাহলে এদের কামড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমন ঘটনা ঘটেছেও অনেক।  

মধুবাজের প্রধান খাদ্য মধু, মৌমাছি বা মৌমাছির ডিম নয়। ওরা মূলত খায় ইঁদুর, ব্যাঙ, তক্ষক, কাঁকড়া, মাছ, মৃত ছোট-মাঝারি পাখি, ফড়িং ও গিরগিটি। শিকারে এরা খুবই দক্ষ।

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: