ফেসবুকে প্রেম, পরে গণধর্ষণ!

ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। পরে সিলেটে ডেকে এনে এক তরুণীকে রাতভর হোটেলে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ববকান্দি গ্রামের মৃত হুদ খাঁর ছেলে (প্রেমিক) জুয়েল খাঁ (২২) ও তার বন্ধু বরগাঁও গাজী মোকাম গ্রামের মৃত আহম্মদ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া (২৬)।
পুলিশ জানায়, ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক থেকে কথিত প্রেমিক ওই তরুণীকে সিলেটে নিয়ে আসেন এবং নগরের তালতলা হোটেল সুফিয়ায় রেখে রাতভর গণধর্ষণ করেন। তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কথিত প্রেমিকসহ অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।
ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির বলেন, শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) রাতে নবীগঞ্জের বরগাঁও এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
আলমগীর কবির আরও বলেন, জুয়েল খাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাহুবল উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের ভুক্তভোগী ওই তরুণীর পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জুয়েল প্রেমিকাকে তার সঙ্গে দেখা করতে সিলেট শহরে আসতে বলেন। প্রেমিকের কথামতো গত ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় জুয়েল পানিউমদা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা প্রেমিকার বাড়ির পাশে পাঠান। অটোরিকশা করে তরুণী পানিউমদায় যান। সেখান থেকে বাসে করে সিলেট পৌঁছান।
সিলেট কদমতলী থেকে তাকে প্রেমিক জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ শহরের তালতলাস্থ আবাসিক হোটেল সুফিয়ায় নিয়ে যান। তারা হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে তরুণীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে ওই তরুণীকে বাসে উঠিয়ে দুপুরে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে জুনেদ মিয়া সটকে পড়েন।
প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী তরুণী বিষয়টি স্বজনদের জানান। পরে স্বজনরা বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানালে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এদিকে, ধর্ষণের শিকার তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।