আইন আদালত ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ফরিদপুরে বাড়ছে ভূমি দস্যুর উপদ্রব

 প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০৮:১২ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ


ফরিদপুর প্রতিনিধি
আইন আদালতের আদেশ-নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভূমি দখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত খলিফা কামাল উদ্দীন (প্রাক্তন বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা) ও সহযোগী ব্যক্তিবর্গ। মোহতেশাম বাবরের পৃষ্ঠপোষকতায় রুবেল-বরকতের তৎপরতা বন্ধ হলেও নতুন করে বেড়েছে খলিফা কামাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের তৎপরতা।
জানা গেছে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ওয়ার্ডের ও পৌর এলাকাধীন কমলাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত আবু ইউছুপ চৌধুরী ও তার স্ত্রী মৃত বেগম সামছুন নাহার চৌধুরীর ক্রয়কৃত, পৈত্রিক ও ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি মতৃ সামছুন নাহার চৌধুরী ও তার ভাই মৃত মতিয়ার রহমানের ওয়ারিশগনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বাটোয়ারা মোকদ্দমা চলমান আছে। ইতিমধ্যে সামছুন নাহার চৌধুরীর মারা যাওয়ায় তার সন্তানরা উক্ত মোকদ্দোমায় পক্ষভূক্ত হন। উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে আইনী লড়াই শেষে প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ডিক্রী পান সামছুন নাহার চৌধুরী। কিন্তু জেলা জজ আদালত ও মহামান্য হাইকোর্টের পুনরায় মামলা হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ সামছুন নাহার চৌধুরীর সন্তানরা মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে আপিল করেন (যাহার নং ৩৫/৩২, লিভ টু আপিল)। 
উক্ত ভূমি মৌজা ১১৬ কমলাপুর এস এ দাগ নং ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৬৩, ২৬৬৪, ২৬৬৬ ও অন্যান্য দাগে স্থিতি অবস্থা / অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও সামছুন নাহার চৌধুরীর প্রতিপক্ষ মোঃ সালাউদ্দিন চুন্নু গং (পিতা- মৃত মতিয়ার রহমান) এবং খলিফা কামাল উদ্দীন ও তার পুত্ররা উক্ত জমি দখলের পায়তারা করছে। যা আইন ও আদালত অবমাননার সামিল বলে প্রতিয়মান হয়।
ইতিমধ্যে তারা অন্যায় ও অবৈধভাবে ১৮৯৩ সালের ভূমি আইন, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন ও মহামান্য হাইকোর্টের বিধি ও আদেশ অমান্য করে এখতিয়ার বর্হিভূত প্রভাব বিস্তার করে পৌর প্লান অনুমোদনের চেষ্টা চালিয়ে জোরপূর্বক উক্ত ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি আদালত ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করেন।