নতুন ‘ইনসিগনিয়া’ পাচ্ছেন র্যাব সদস্যরা
৮টি বাহিনী ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষায়িত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ সদস্যদের জন্য নতুন ‘ইনসিগনিয়া’ প্রবর্তন করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন এই ইনসিগনিয়া অনুমোদিত হয়।
র্যাবের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোমবার (২৮ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এই ইনসিগনিয়া ব্যাজ পরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নতুন এই ইনসিগনিয়ার উদ্বোধন করবেন।
যা র্যাবের প্রতিটি সদস্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে পরিধান করতে পারবেন। সকল র্যাব সদস্যদের জন্য প্রবর্তিত এই ইনসিগনিয়াটি অনন্য সম্মান ও গৌরব প্রতীক।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনধারণ যখন ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ঠিক তখনই ২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে র্যাব ফোর্সেস।
প্রতিষ্ঠার পর পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মাদকের বিস্তাররোধেও র্যাব ফোর্সেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকে রেখেছে।
এছাড়া, র্যাবের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য র্যাব এখন সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাব ফোর্সেস ৮টি বাহিনী ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস এলিট ফোর্স। যেখানে বিভিন্ন বাহিনী থেকে আগত সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট সময় সেবা প্রদান করে নিজ বাহিনীতে গমন করেন।
র্যাবের এই সম্মিলিত কার্যক্রমকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে সকল র্যাব সদস্যদের জন্য একটি ‘ইনসিগনিয়া’ গত ২১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়। যা প্রতিটি সদস্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে পরিধান করতে পারবেন। সকল র্যাব সদস্যদের জন্য এই ইনসিগনিয়াটি অনন্য সম্মান ও গৌরবের প্রতীক।