সরকার বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে : -স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়


                                                   
আজ ১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখ বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ^ এইডস দিবস। এইডস এর সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এবারের বিশ^ এইডস দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এবারের বিশ^ এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য “সমতার বাংলাদেশ, এইডস ও অতিমারী হবে শেষ”। (EndInequalities. End AIDS. End Pandemics.)| 

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ সকালে মহাখালিস্ত বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানা (Dr. Bardan Jung Rana), মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মোঃ খুরশীদ আলম, পরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) ও লাইন ডাইরেক্টর টিবি-লেপ্রোসী ও এইডস/ এসটিডি প্রোগাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। 

এইডস রোগের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার অন্যান্য রোগের ন্যায় এইডস এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দিচ্ছে। দেশের ১১টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীরা বিনামূল্যে সরকারি এই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। করোনার এই সংকটকালেও সরকার এইডস রোগীদের পরীক্ষা কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। নিকট ভবিষ্যতেই এইচআইভি টেস্টিং কার্যক্রম দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতাল সম্প্রসারণ করা হবে।”

সড়কে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,“শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবীগুলির সাথে আমার সহানুভূতিশীল রয়েছি। তবে, সড়কে এভাবে দলবেধে চলাফেরা করায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। এতে করে আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারও আক্রান্ত হবার ঝুঁকি রয়েছে সে বিষয়টিও তাদেরকে ভাবতে হবে। ”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% নিচে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ সংক্রমণ কিছুটা বেশি। দেশে বর্তমানে সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০০। দেশে গত ১ বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন (২৬%), রোহিঙ্গা ১৮৮ জন (২৬%), বিদেশ ফেরত প্রবাসী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন (২০%), ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন (৮%), নারী যৌনকর্মী ১৭ জন (২%), সমকামী ৬৭ জন (৯%), পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন (৭%), ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন (২%)।