৭০ বছরের খাজা বলী
নগরের পতেঙ্গা থানার পূর্ব কাঠগড়ের খাজা আহম্মেদ (৭০)। তিনি ১০ বছর বয়স থেকে দেশের নানা প্রান্তে বলীখেলায় অংশ গ্রহণ করে বহুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
৭০ বছর বয়সে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৩তম আসরে অংশ গ্রহণ করে প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভ করেছেন।
খাজা আহম্মেদ বলেছেন, ১০ বছর বয়স থেকে বলীখেলায় অংশ গ্রহণ করছি। জব্বারের বলীখেলায় ৩০ বছর আগে একবার চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলাম। আজকে ৭০ বছর বয়সে বলী খেলায় অংশ নিতে পেরে গর্ববোধ করছি।
তিনি বলেন, গত ২ বছর করোনার কারণে বলীখেলা হয়নি। যার কারণে অংশ গ্রহণ করা হয়নি। যতদিন বেচেঁ থাকব ও শরীর ভালো থাকবে বলীখেলা খেলে যাব। বলীখেলায় অংশগ্রহণ করে অন্য রকম আনন্দ লাগে।
কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন জানিয়ে খাজা আহম্মেদ বলেন, বলীখেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হচ্ছে খবর পেলে সেখানে অংশ গ্রহণ করি। ভাল লাগা থেকে বলী খেলায় অংশ গ্রহণ করি। বলী খেলায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় না।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। পরে যা আব্দুল জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত হয়। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখে লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বলী খেলা।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে পরপর দুই বছর ঐতিহ্যবাহী এ কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়নি। মূলত লালদীঘির মাঠেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এ মাঠে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ঐতিহাসিক ছয় দফা মঞ্চ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার ম্যুরাল স্থাপন, কিডস কর্নার, ঘাস লাগানো, সীমানা প্রাচীর, ফটক নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর। মাঠটি যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন, তাই সেটি এখনো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। সেজন্য লালদীঘি সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের বালুর মঞ্চে হচ্ছে জব্বার মিয়ার বলী খেলা।