সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও পদযাত্রা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের

 প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২১, ০২:১০ অপরাহ্ন   |   সোস্যাল মিডিয়া




“Remember, Support, Act for Low speed” প্রদিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল ২১ শে নভেম্বর রবিবার “World Day of Remembrance for Road Traffic Victims” দিবস পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপি। এ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষন এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উদ্যোগে রবিবার সন্ধ্যা ৫:৩০ টায় শ্যামলী পার্কে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শেষে শ্যামলী মাঠ থেকে একটি পদযাত্রা শুরু হয়ে মিরপুর রোডে এসে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, সহকারী পরিচালক মো: মোখলেছুর রহমান সহ স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন ইনিস্টিটিউট ও প্রকল্প প্রধান, কর্মকর্তাবৃন্দ, ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মী। এছাড়াও কর্মসূচিতে  গ্লোবাল রোড সেফটি এ্যাডভোকেসি এন্ড গ্রান্ট প্রোগাম ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ্ এ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর এর বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল কনসালটেন্ট – নন কমিউনিকেবল ডিজিজ এর ড: খন্দোকার মো: ওয়াতিন আলম সহ পথচারীরা অংশ নেন।

বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ৮ ম বৃহত্তম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অব রোড সেফটি ২০১৮ এর তথ্য অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় । ৫-২৯ বছর বয়সসীমার মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। আর এসব মৃত্যুও ৯০ শতাংশ নিম্ম ও মধ্যম আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য
মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।

মহাসড়কে যত দুর্ঘটনা ঘটে, তার শতকারা ৮০ ভাগ ঘটে চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য। গাড়ির গতি ঘন্টায় ১ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাইলে ৪-৫%  দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যানবাহনের গতি যত বেশি কম হবে, পথচারীদের জন্য আহত ও মৃত্যুর ঝুঁকি তত বেশি কম হবে। ৩০ কিলোমিটার ঘন্টা বেগে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৯৯%। ৫০ কিলোমিটার ঘন্টা বেগে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৮০%।

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে  ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মকর্তাবৃন্দ  প্লাকার্ডের মাধ্যমে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য দাবি জানান। যেমন- “ গাড়ির সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি; আইন মেনে চলি, নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালাই, জীবন বাঁচাই; সড়ক দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী শিশু এবং কিশোরদের মৃত্যুর প্রধান কারণ; যদি গাড়ির ৫% গতি হ্রাস করা হয় তাহলে মারাত্মক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩০% শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।” নিরাপদ সড়ক জনসাধরনের অধিকার আর সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।