যেসব অজুহাতে ব্যায়াম করা হয় না

শরীরচর্চা করার ইচ্ছাটা কমবেশি সবারই হয়। কিন্তু সেই ইচ্ছা থেমে যায় নানান অজুহাতে। তবে অজুহাতগুলো কতটা যৌক্তিক, সেটা অবশ্য ভাবনার বিষয়। বিভিন্ন অজুহাতের ফলে ব্যায়াম শুরুর কয়েক দিন পর আর সেভাবে করা হয়ে উঠে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যায়াম না করার অজুহাতগুলো কী কী।
যারা স্থূলতা নিয়ে চিন্তিত তারা ব্যায়াম করতে গিয়ে প্রায় বলেন আজ না আগামীকাল করবো। কিন্তু সেই আগামীকালটা ‘আগামীকালই’ থেকে যায়। এভাবে করলে স্থূলতা বাড়তেই থাকে, আগামীকাল কখনোই আসে না। তাই আগামীকাল থেকে ব্যায়াম করবো, এমন মানসিকতা পরিবর্তন করে আজ থেকেই শরীরচর্চা শুরু করুন। দেখবেন শুরু করলেন তো, ‘শুরু’ হয়ে গেল। তা না হলে আগামীকাল আর আসবে না।
বিষয়টি শুনতে কিছুটা খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি যে, ব্যায়াম করার সময় না থাকলে হাসপাতালে যাওয়ার সময় বের করে নিতে হবে। এখন পছন্দটা আপনার। দিনভর এত এত ব্যস্ততায় সময় করতে পারছি না, এমন অজুহাত সবারই কমবেশি থাকে। কিন্তু বই পড়া, মুভি দেখা কিংবা আড্ডা দেওয়ার সময় তো ঠিকই বের করে নিচ্ছেন। তাই প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করার সময় বের করা অসম্ভব কিছু নয়।
অনেকেই বলেন, ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজে থাকতে খেলাধুলা করতাম, ব্যায়াম করতাম। এখন তো চাকরি করে সময় বের করতে পারি না। এমন কথা বলা অযৌক্তিক। আগে তো গোসল করা, দাড়ি কামানো, খাওয়া-দাওয়া সবই করেছেন, কিছুই তো বাদ দেননি। এখন কি এসব করা থেকে বিরত আছেন? যদি না থাকেন, তাহলে ব্যায়ামটাও করুন দেখবেন ভালো লাগবে।
সপ্তাহজুড়ে ব্যস্ততায় অনেকেই শরীরচর্চা করতে পারেন না। এতে করে শরীরে মেদ জমতে শুরু করে। তবে কেউ কেউ আবার পুরো সপ্তাহের ব্যায়াম একদিনে করতে চান। সেক্ষেত্রে ছুটির দিনটাকে বেছে নেন। এমনটা করলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে। চার-পাঁচ দিন নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে শরীর অনমনীয় হয়ে পড়ে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেশি ব্যায়াম করলে পেশিতে টান লাগতে পারে।
এটা ভ্রান্ত ধারণা। হ্যাঁ, ঘরের কাজ করলে শরীরের উপকার হয়। এতে শরীর নমনীয় থাকে। কিন্তু ঘরের কাজ করার পর ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই, এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। প্রয়োজনে ছোট ছোট স্বল্প সময়ের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। একটা সময় পর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।
অনেকে আছেন বয়সের অজুহাতে ব্যায়াম করা থেকে বিরত রাখেন নিজেকে। প্রতিদিনের সব কাজ যদি ঠিকঠাক করতে পারেন তাহলে হালকা ব্যায়ামও করতে পারবেন। সেজন্য ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম থেকে পালানোর চেষ্টা না করাই ভালো। বৃদ্ধ বয়সে প্রতিদিন যতটুকু পারেন, ব্যায়াম করুন। এতে শরীর ভালো থাকবে।