পৃথিবী রক্ষার মিশন শুরু!

 প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন   |   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি



পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এমন গ্রহাণুর গতিপথ সরিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ‘ডার্ট’ নামের একটি যান যাত্রা করেছে।  

স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে যাত্রা করা যানটি পরীক্ষা চালাবে ডাইমর্ফোস নামের একটি গ্রহাণুর ওপর।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসার মহাকাশযানটি এর ওপর আঘাত হানবে এবং পরীক্ষা করে দেখা হবে, এর কক্ষপথ এবং গতিবেগে কোনো পরিবর্তন হয় কি না।

এটিই মানুষের প্রথম পরীক্ষা, যেখানে পৃথিবীকে রক্ষার জন্য একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করা হবে।

বলা হচ্ছে, ১৬০ মিটার চওড়া কোনো গ্রহাণু যদি বিস্ফোরিত হয়, সেটা হবে একটি পারমাণবিক বোমার চাইতেও বহুগুণ বেশি প্রচণ্ড। এতে জনবসতি আছে এমন এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে এবং হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে।

৩০০ মিটার বা তার চেয়ে বেশি বড় কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানলে যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটবে, তা হবে একটা পুরো মহাদেশের মতো বড় এলাকাজুড়ে। যদি ১ কিলোমিটারের চেয়ে বড় আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়, এতে ক্ষয়ক্ষতি হবে সারা পৃথিবীজুড়ে।

ডাইমর্ফোস নামের যে গ্রহাণুটির ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে, তা এখন পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়।  
নাসার ‘প্ল্যানেটরি ডিফেন্স’ সংক্রান্ত সমন্বয়কারীর দপ্তরের কেলি ফাস্ট বলেন, ডার্ট দিয়ে আঘাত হেনে ডাইমর্ফোসের গতিবেগ বা পথে যতটুকু পরিবর্তন করা যাবে, তা হবে খুবই সামান্য। কিন্তু একটা গ্রহাণুকে আঘাতের আগেই যদি চিহ্নিত করা যায়, তাহলে তা এড়ানোর জন্য ওইটুকু পরিবর্তনই যথেষ্ট।  

এই ‘ডার্ট’ মহাকাশযান বহনকারী রকেট ফ্যালকন-নাইন নামে একটি রকেট স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৬টায় ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স ঘাঁটি থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, এই মিশনে ব্যয় হচ্ছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর: