টিকা না নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করলে ১১ আগস্ট থেকে শাস্তির আওতায় আনা হবে

আরেক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ চলবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিন দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় থেকে সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহন। আজ মঙ্গলবার (৩ জুলাই) কঠোর বিধিনিষেধের বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এরআগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সভাটি শুরু হয়। ব্রিফিয়ের সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌঁড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। এসময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।
করোনার টিকা না নিয়ে বাইরে ঘোরাফেরা করলে আগামী ১১ আগস্ট থেকে শাস্তির আওতায় আনা হবে ১৮ বছরের বেশি বয়স্কদের। রাস্তাঘাটে, গাড়ি-ঘোড়ায়, ট্রেনে হোক, কেউ আইন না মানলে সরকার হয়তো অধ্যাদেশ জারি করে শাস্তি দিতে পারে।
আগামী ১১ আগস্ট সীমিত আকারে গণপরিবহন চলবে। বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে টিকা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ওইদিন থেকে সড়কে পুনরায় গণপরিবহন চলাচল করবে। খুলবে অফিস। ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এর আগে করোনার সংক্রমণরোধে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের আগে গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। গত ২৩ জুলাই থেকে সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যেই গত রবিবার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।
লকডাউনের মধ্যে কলকারখানা খুলে দেওয়ায় মঙ্গলবার রাস্তায় মানুষ ও যান চলাচল আরও বেড়েছে। শুধু ব্যক্তিগত গাড়িই নয়, পণ্যবাহী যানবাহনসহ রিকশাও চলছে দেদার। কোথাও কোথাও রাজপথে যানবাহনের চাপ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে। প্রধান সড়কের পাশে থাকা দোকানপাট বন্ধ থাকলেও পাড়া মহল্লার দোকান ঠিকই খুলেছে। লোকজনও প্রতিদিনের কেনাকাটা সারছেন। আগের মত আইনশৃংখলাবাহিনীর টহল থাকলেও তাদের মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে তাদের তৎপরতা ছিল কম। লকডাউনের দ্বাদশ দিনে পুলিশের তল্লাশিও থেমে গেছে। গণপরিবহন না থাকলেও বিভিন্ন উপায়ে মানুষের চলাচলও প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।