দুবলার চরে শুঁটকি মৌসুম শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দুবলার শুঁটকি মৌসুম। এবার মৌসুম চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ৫ মাস জেলেরা থাকবেন এ চরে। চরে থাকার জন্য ঘর, মাছ শুকানোর চাতাল, মাচা ও শুঁটকি সংরক্ষণের গোডাউন তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে-মহাজনরা। কাল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে ট্রলার নিয়ে নামবেন জেলেরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতবারের তুলনায় এবার দুবলার চরে জেলেদের সমাগম হয়েছে বেশি। গত মৌসুমে সাড়ে ৯শ জেলেকে ঘর দেওয়া হলেও এবার দেওয়া হয়েছে সহস্রাধিক। বেড়েছে ডিপো ও দোকান ঘরের সংখ্যাও। এবার ১ হাজার ৩০টি জেলে-মহাজনদের ঘর, ৬৩টি ডিপো ও ৯৬টি দোকান ঘরের অনুমোদন দিয়েছে বনবিভাগ।
৯৬টি দোকানের মধ্যে মুদি, জ্বালানি তেল, সেলুন ও ওষুধসহ বিভিন্ন দোকান দিয়ে জেলেদের চাহিদা পূরণ করে থাকেন।
শুরু হতে যাওয়া এ মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে টহল ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে র্যাব, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও বনবিভাগ।
সাগরে দস্যুতা না থাকায় জেলেরা নির্ভয়ে মাছ শিকার করতে পারলেও টেকসই সাইক্লোন শেল্টার, বয়া বাতি, দুর্যোগ সংকেত, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সেঙ্গ অস্থায়ী ভাসমান হাসপাতালের দাবিও তুলেছেন তাদের।
মাছ ধরতে চরে আসা এক জেলে বলেন, আমরা প্রতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের একমাত্র সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি থাকলেও তা উপেক্ষিত। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল। হাসপাতাল না হওয়া পর্যন্ত একটি হাইস্পিড বোটের ব্যবস্থা যাতে করা হয়।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, চরে একটি মৌসুমভিত্তিক হাসপাতাল দেওয়ার প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত হাসপাতাল না থাকলেও হাসপাতালের আদলে ওষুধের দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চরে টেলিটকের নেটওয়ার্ক রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে।