পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে আরও ১৫ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ডিবি

 প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য


পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে আরও ১৫ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রিমান্ডে থাকা তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে তেজগাঁও জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহদাত হোসেন সোমা এ তথ্য জানান।



তিনি বলেন, গ্রেফতার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন- নিয়োগ পরীক্ষার দিন সকালে স্থাপন করা বুথে আরও ১৫ জন ব্যক্তি নিয়োগ প্রত্যাশীদের এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ও উত্তর মুখস্থ করিয়েছিলেন। তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। এখন তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতারের পর তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে, সম্প্রতি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। একটি পরীক্ষায় ডিবি পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি। আর চক্রে জড়িত ও গ্রেফতারদের তিনজনই সরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা।



ডিবির প্রাথমিক তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জড়িত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহছানউল্লা ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়। এ পর্যন্ত চক্রটি প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

গত ৬ নভেম্বর থেকে বুধবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও পরীক্ষার্থী স্বপন।