বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ডে দেশের সেরা বিটুবি ই-কমার্স প্লাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে 'মোকাম'

 প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪৪ অপরাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য


প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাংলাদেশ রিটেইল অ্যাওয়ার্ডে দেশের সেরা বিটুবি ই-কমার্স প্লাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে 'মোকাম'। ডিসেম্বর ২০১৯ এ যাত্রা শুরুর পর, দুবছরেরও কম সময়ে এমন অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মোকাম দেশীয় প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপ শপআপের একটি উদ্যোগ।  মোকাম দেশের সবচেয়ে বড় বিটুবি ই-কমার্স প্লাটফর্ম যা দেশজড়েু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৪৫ লাখ মুদি দোকানিদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবদ্ধিৃ র চালকের আসনে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। 
এত কম সময়ে এমন সাফল্য অর্জন সম্পর্কে মোকামের চীফ অফ স্টাফ জিয়াউল হক বলেন, "শুরু থেকেই আমরা রিটেইলারদের সেরা সেবাটা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সব পণ্য ঠিক দামে সহজেই মোকামে নিশ্চিত করতে পেরেছি বলেই আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন দেশের লাখো রিটেইলার"। 
সম্প্রতি মোকামের মলূ প্রতিষ্ঠান শপআপ ৬৪০ কোটি টাকার 'সিরিজ বি' বিনিয়োগ পায় যা দক্ষিণ এশিয়ায় বিটুবি কমার্স ব্যবসায় এযাবৎকালের সর্ববহৎৃ বিনিয়োগ। উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালের অক্টোবরে ১৯০ কোটি টাকার ‘সিরিজ এ’ বিনিয়োগ পেয়েছিল শপআপ। 
এশিয়ার সবচেয়ে খণ্ডিত খুচরা বাজার গুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। খুচরা বাজারের প্রায় ৯৮ শতাংশ কেনা-বেচা হয়ে থাকে দেশজড়েু পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে থাকা ৪৫ লাখেরও বেশি মদিু দোকানের মাধ্যমে । একাধিক সাপ্লাইয়ার, ডিস্ট্রিবিউটর এবং পাইকারের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহের সময়ে এই দোকানগুলি প্রতিনিয়ত অনেক সমস্যার সম্মখুীন হয়। পণ্যের স্বল্পতা, মলূ্যমানের অনিশ্চয়তা এবং পূর্ণার্ণঙ্গ ডেলিভারি সহায়তার অভাবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যহত হয় প্রতি দিন। তাছাড়া, যদিও প্রায় ৭৩% খুচরা বিক্রেতারা বাকি তে পণ্য বিক্রি করে , বাংলাদেশে মাত্র ২৭.৫% ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঋণ সংগ্রহ করতে পারে । এই মৌলিক সমস্যাগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসার পথচলায়। 
এই সমস্যাগুলোর সমাধান হিসেবে মোকাম সকল প্রকার পণ্য নিয়ে আসে একটি প্লাটফর্মে।র্মে মোকামে অর্ডারের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাড়ার মদিু দোকানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় পণ্যের সমাহার। এটি সম্ভব করতে মোকাম দেশের বহৃ ত্তম নির্মাতা র্ম , উৎপাদনকারী এবং পরিবেশকদের সাথে চুক্তিতে গিয়ে নিশ্চিত করে বাজারের সেরা মলূ্য। এছাড়াও, দোকানীরা একই অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ না করেই বাকিতে পণ্য ক্রয় করতে পারে। যার ফলে, অল্প টাকায় আরও বেশী ব্যবসা করতে পারে তারা। 
স্বীকৃতি অর্জনের অনভুূতি জানাতে গিয়ে মোকামের চীফ অফ স্টাফ জিয়াউল হক বলেন, "এই অর্জনের মলূ কৃতিত্ব আমাদের রিটেইলারদের, যাদের আস্থা এবং বিশ্বাস মোকামকে এতদরূ নিয়ে এসেছে। প্রযুক্তির সাহায্যে দেশের রিটেইল মার্কেটে বিদ্যমান সমস্যা গুলোর সমাধানের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মার্মণে কাজ করে যাবে মোকাম"। 
দেশীয় স্টার্টআপ শপআপের একটি উদ্যোগ 'মোকাম'।  ২০১৯ সালের শেষে আনষ্ঠু ানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মোকাম। বর্তমানে সমগ্র দেশব্যাপী ৫৩ জেলায় বিস্তৃত মোকামের কার্যক্রম। করোনা মহামারীতে মোকামের সেবার ফলে মদিু দোকানিরা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পেরেছিলো এবং দেশব্যাপী অসংখ্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।