ঢাকা ক্লাবে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে ঢাকা ক্লাবে স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোম্পানীর ব্যবসা সফল ৬৬ জন উন্নয়ন কর্মকর্তা ও কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয়। কোম্পানীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন, প্রেসিডেন্ট এফবিসিসিআই এবং বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, পরিচালকবৃন্দ রোটাঃ ইঞ্জিঃ মোহাঃ মোহাব্বত উল্যাহ, মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মোঃ খলিলুর রহমান, চৈতন্য কুমার দে, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শেয়ার হোল্ডার সিদ্দিকুর রহমান মাসুম এবং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মনিরুল আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কোম্পানীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট, বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ও দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিেিটডের চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন বর্তমান বছরকে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে কোম্পানীকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তাগিদ দেন। কোম্পানীর অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি কর্পোরেট বিজনেস-এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এনআরবি নাম নিয়ে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের ধারনা এবং দেশের একাধিক কোম্পানী রয়েছে। আর দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান হওয়ায় ইসলামী বীমার প্রতি মানুষের বিশেষ আস্থা রয়েছে। এই সব বিবেচনা করে কোম্পানীকে ইতিবাচক ব্রান্ডিং করার জন্য কোম্পানীর নাম পরিবর্তন করে “বেঙ্গল ইসলামী লাইফ লিমিটেড” রাখা হচ্ছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো যোগ করেন যে, বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বর্তমানে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলো সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। অনুরূপ ইতিবাচক প্রভাব লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলোতে সহসা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি কোম্পানীর ভাইস-চেয়াম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী ব্যবসার বিপরীতে ব্যয় সঙ্কোচনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং নির্ধারিত সীমার মধ্যে ব্যয় সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলেন। কোম্পানীর পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়াম্যান রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার মোহাঃ মহব্বত উল্লাহ্ কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মীদের উপদেশ প্রদান করেন। পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সুযোগ্য নেতৃত্বে কোম্পানী উত্তরোত্তর আরো অগ্রগতির দিকে ধাবিত হবে।
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার বক্তব্যে কোম্পানীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন এবং গত বছরের সমপরিমাণ ব্যবসা গত আগস্ট ক্লোজিং মাসে ইতোমধ্যে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এই বছরে ব্যবসা অর্জন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।