প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি, ৮ জনের চার্জশিট অনুমোদন

 প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন   |   অপরাধ ও আইন


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শাহজাহান এবং ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৫ এপ্রিল) কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।


সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শাহজাহান এবং ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুদক। খুব শিগগিরই এটা আদালতে পাঠানো হবে।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদ ও রবিউল আউয়াল।

এর আগে ২০২০ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডোর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

সেই সংক্ষেপের নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতির পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে যায়। তিনি (ফাতেমা) এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে গোপনীয় তথ্য ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপর গত বছরের ১ মার্চ নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪ নং গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। এই কাজের জন্য ফাতেমাকে আসামিরা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত বছরের ৫ মে এ বিষয়ে মামলা করেন।

অপরাধ ও আইন এর আরও খবর: