আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ঢাবি অধ্যাপক কার্জন

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন এম. নাজমুল হুদা।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য জানান। এই মামলায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পান অধ্যাপক কার্জন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী অধ্যাপক কার্জন আজ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত বছর ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে লেখাটি মুছে ফেলে ক্ষমা চান। এরপর বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক গত বছরের ১ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক কার্জন মানহানিকর সর্বোপরি সনাতন ধর্মের ভগবানকে নিয়ে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। যেটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল এবং সরকারকে বিব্রত করার মানসে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।