ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
নাজিম বকাউল ( ফরিদপুর) :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর উপজেলার এনজিওকর্মী শিউলি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রিপন মোল্লা নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সময়ে এ মামলায় মোট নয় আসামির মধ্যে আটজনকে খালাস প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ ই অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচার (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই বোয়ালমারীর দাদপুর গ্রামে আব্দুর বারিক মোল্লার মেয়ে শিউলি আক্তার স্থানীয় একটি এনজিও অফিসে কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রিপন মোল্লাসহ অন্যরা তাকে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর বারিক মোল্লা বাদী হয়ে ১৩ জুলাই বোয়ালমারী থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ (মঙ্গলবার) বিচারক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’ এর ৯(২) ধারায় দোষী রিপন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
তিনি বলেন, মামলায় অন্য আট আসামির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পেয়ে খালাস প্রদান করেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সাইদ মাতুব্বর, ফজর খা, বক্কার মোল্লা, রাফিক মোল্লা, মিকু মাতুব্বর, রঞ্জু সরদার, বিপুল সরদার ও ওবায়দুর মোল্লা।